স্মার্ট কার্ড না থাকায় দিনাজপুরের হিলি উপজেলার পাঁচ হাজার সুবিধাভোগী পাচ্ছেন না ট্রেডিং কর্পোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) পণ্য। এতে করে চরম দুর্ভোগে পড়েছেন তারা। গত চার মাস ধরে টিসিবি পণ্য কিনতে না পারায় ক্ষুব্ধ ভুক্তভোগীরা। কর্তৃপক্ষ বলছে, যাচাই-বাছাই শেষে ভুক্তভোগীদের তালিকা ইতোমধ্যে সংশ্লিষ্ট দপ্তরে পাঠানো হয়েছে। সরাসরি টিসিবি ও বাণিজ্য মন্ত্রণালয় বিষয়টি নিয়ন্ত্রণ করছেন। বঞ্চিতরা আগামী অর্থবছরে পণ্য পেতে পারেন। 

উপজেলা ইউএনও অফিস সূত্রে জানা, এ উপজেলায় মোট ১০ হাজার ৫৭১ জন ফ্যামিলি কার্ডধারী রয়েছেন। তার মধ্যে স্মার্ট কার্ড পেয়েছেন ৫ হাজার ৫৪০ জন। এখনো স্মার্ট কার্ড পাননি ৫ হাজার ৩১ জন। এর মধ্যে শুধু পৌরসভায় এক হাজার ৩৮৫ জন পায়নি স্মার্ট কার্ড।  এছাড়াও ১ নং খট্টামাধবপাড়া এক হাজার ৯৩৭ জন, ২ নং বোয়লাদাড় ইউনিয়নে ৫শ’৪  জন ও ৩ নং আলীহাট ইউনিয়নে ১ হাজার ২শ’ ৫ জন সুবিধাভোগী স্মার্ট কার্ড পায়নি। ফলে তাঁরা কিনতে পারছেন না স্বল্পমূল্যের টিসিবি পণ্য। 

পৌরসভার ৯ নং ওয়ার্ড বাসিন্দা শাহানাজ পারভিন জানান, স্মার্ট কার্ড না থাকায় গত চার মাস থেকে তিনি  টিসিবি পণ্য কিনতে পারছেন। প্রতিবার ভ্যান ভাড়া দিয়ে টিসিবি পণ্য কিনতে যান। কিন্তু স্মার্ট কার্ড না থাকায় খালি হাতে বাসায় ফিরে যেতে হয়।  তিনি আক্ষেপ করে বলেন, গত রমজান মাসেও টিসিবি কিনতে পারেনি। ভেবেছিলেন, এবার কোরবানি ঈদে হয়তো কিনতে পারবেন। কিন্তু স্মার্ট কার্ড না থাকায় টিসিবি বিক্রেতা আবারও ফিরিয়ে দিয়েছেন। 

টিসিবি ডিলার আলম হোসেন জানান, আগে স্মার্ট কার্ড না থাকলেও সুবিধাভোগীদের জাতীয় পরিচয়পত্রের ফটোকপি জমা নিয়ে টিসিবি পণ্য দিয়েছি। কিন্তু গত দু মাস আগে টিসিবি কর্তৃপক্ষ শুধুমাত্র এক্টিভ কার্ড (স্মার্ট কার্ড) গুলোর বিপরীতে টিসিবি পণ্য বিক্রি করে বাকি মালামাল পরবর্তী মাসের জন্য সংরক্ষণের নির্দেশ দিয়েছেন। তাই এক্টিভ কার্ড ছাড়া কোন পণ্য বিক্রি করা যাচ্ছে না। 

হাকিমপুর (হিলি) উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) অমিত রায় জানান, বঞ্চিতদের তথ্য হালনাগাদ করে টিসিবি ওয়েবসাইটে আবেদন করা হয়েছে। এখনো অনুমোদন হয়নি।  আগামী অর্থবছরে টিসিবি কর্তৃপক্ষ নতুন করে কার্ড বিতরণ করবেন। আশা করি তখন তারা স্মার্টকার্ড পাবেন। 

বাংলা স্কুপ/প্রতিনিধি/এসকে